Headlines
Loading...
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

ফ্রীলেন্সিং এর জগতে হাতে খড়ি দিতে প্রয়োজন অনেক সাধনা, ত্যাগ আর ধৈর্য। এর কোনটি আপনি ধরে রাখতে না পারলে সফল হওয়া সম্ভব নয়। অনলাইনে আয়ের জন্য অনেক আগ্রহ থাকা সত্বেও কিছু ভুল ধারণা মনে বাসা বেধে থাকার কারণে মাঝ পথে গিয়ে অনেককেই ফিরে আসতে হয়… চলুন দেখে নেই অনলাইনে আয় করতে গেলে কি কি প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে।



ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গেলে যে বিষয়গুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে…
১. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গেলে প্রথমেই অনেক বড় ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে এমন মানসিকতা নিয়েই কাজ শুরু করতে হবে ।
২. প্রথমেই যে কোনো মার্কেট প্লেসে একাউন্ট করতে হবে, odesk, freelancer এবং elance পৃথিবীর সবচেয়ে পপুলার আউট সোর্সিং মার্কেট প্লেস ।
৩. কখনোই মনে করে যাবেনা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেই রাতারাতি বড় লোক হয়ে যাব ।
৪. অনলাইনে আয় করার অনেক পথ আছে, আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে ভাবতে পারবেননা এ পথে সফল হওয়া অসম্ভব। তাহলেই কাজের শুরুতেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন । ৫. কোনো মার্কেট প্লেসে একাউন্ট করে আপনি সাথে সাথে কাজ পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী হবেন এটা স্বাভাবিক কিন্তু কাজ না পেলে আশাহত হয়ে বিড করা ছেড়ে দিবেন এমন ভাবনা মন থেকে বাদ দিন ।
৬. আপনি কাজের জন্য যে বিড করবেন তা যেন গ্রহণযোগ্য হয়, মিনিমাম ৩ ডলার রাখুন আওয়ার লি রেইট আর সর্বোচ্চ রেইট আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী দিবেন, মিনিমাম রেইট এর নিচে দিলে আপনার মাধ্যমেই মার্কেট খারাপ হয়ে যাবে এটা নিশ্চিত । অবশ্য এখন এই রেইটটাই ডিফল্ট হিসেবে গন্য ।
৭. আপনার টাকার চেয়ে মার্কেটপ্লেসে ফীডব্যাকের গুরুত্ব বেশী এটা হাইলাইট করুন । আর অবশ্যই বায়ারের বাজেটের মধ্যে বিড করতে হবে ।
৮. যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছে, তারা শুধু এটা শুরু করেই ক্ষান্ত হয়নি, পাশাপাশি চেষ্টা করেছে ব্লগিং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইমাইজেশন এর কাজ, আপনিও একই নীতি এপ্লাই করুন সফল হলে আপনিই বুঝতে পারবেন অনলাইনে আয় করা আপনার জন্য কিভাবে সহজ এবং কোন পথ আপনার জন্য কার্যকরী।
৯. কাজের জন্য বিড করতে গিয়ে কভার লেটার অবশ্যই আকর্ষনীয় করে লিখবেন, বায়ারকে সম্বোধন করবেন স্যার কিংবা ডিয়ার হায়ারিং ম্যানাজার এভাবে, আপনি কাজটি করতে পারেন এবং করতে আগ্রহী তা বুঝিয়ে বলবেন, এর বেশি কথা বলতে যাবেননা।
১০. একটি কভার লেটার বারবার কপি করে সেটা সব জায়গায় পেস্ট করবেননা তাহলে কাজ পাওয়ার যে সম্ভাবনা থাকবে সেটাও হারাবেন ।
১১. সাধারণত কাজ পাওয়ার মুখ্য সময় গভীর রাত অর্থাত রাত ১টা থেকে ৪টা, এ সময়ে কাজ বেশি পোস্ট হয়, তাই এ সময় এপ্লাই করলে কাজ পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, অন্য সময় এপ্লাই করতে গেলে দেখবেন আপনি এপ্লাই করার আগেই আরো অনেকজন করে ফেলেছে, এর মধ্যে হায়ার হয়েছে কয়েকজন আর ইন্টারভিউতে কল পেয়েছে আরো কয়েকজন, আর তাই সেখানে আপনার সম্ভাবনা অতি নগন্য।
১২. পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড এমন বায়ার দেখেই কাজের জন্য এপ্লাই করবেন, এছাড়া অন্য বায়ারদের গ্যারান্টি নেই, আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে ভাগতে পারে ।
১৩. ই-মেইল মার্কেটিং, আর্টিকেল রাইটিং, ফোরাম পোস্টিং, ওয়েব রিসার্চ, এফিলিয়েট মার্কেটিং, কপি পেস্ট, ডাটা এন্ট্রি এর মত কাজগুলো করার জন্য আপনার পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকার প্রয়োজন। নেই । ফিক্সড টাইমের কাজগুলোর পেমেন্টের নিশ্চয়তা কম আর এক্ষেত্রে পেমেন্ট নিতে হবে কাজের শেষে, ঘন্টাভিত্তিক কাজে পেমেন্ট ঘন্টায় ঘন্টায় পাবেন ।
১৪. Microworkers এ রেজিস্ট্রেশন করুন, এখানে ছোট ছোট কাজ করে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন রেইটের কাজ করে এখানে ব্যালেন্স জমা হতে হতে যখন বড় একটি এমাউন্ট হবে তখন আপনি তোলার চিন্তা করবেন । এটির মত আরো কিছু সাইট আছে অনলাইনে, আপনি সেগুলো ও চেষ্টা করতে পারেন, যদি বড় মার কেট প্লেস গুলো আপনার জন্য সুবিধা জনক মনে না হয়…
সর্বোপরি…
যে কোনো ক্ষেত্রে সফল হবার জন্য পরিশ্রম করতে হয়, অযথা সাফল্য এসে হাতে ধরা দিবেনা, আপনিও যে পথে আগ্রহী, অনলাইনে আয়ের যে বিষয়গুলো আপনার ভালো লাগে সে বিষয়গুলো আপনি নিয়মিত স্টাডি করুন, এ পথে সময় দিন, লেগে থাকুন, আউট পুট অবশ্যই পাবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

0 Comments: